আমিরাতে ফিরতে আমাকে যা করতে হয়েছে

আমিরাতে ফেরা এখন অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শধু আমিরাত নয় দেশে আটকা পড়া প্রবাসীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে নানা জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। টিকিটের চড়া দাম ছাড়াও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে।
দেশে প্রায় ৫ মাস থাকার পর ২৮ আগস্ট বাংলাদেশ বিমানের BG-047 ফ্লাইটে রাত সাড়ে ১১ টায় দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামি। দুবাই সহ অন্যান্য ইমিরেটসের তথা ইউএই থেকে দেশে গিয়ে আটকে পড়া প্রবাসীরা যারা এখনো আটকে আছেন তাদের জন্য আমার কিছু কথা।
আমার টিকিট যেহেতু ২৮ তারিখের ছিলো তাই আমি ২৬ তারিখ সকালে মহাখালী ব্যাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন DNCC তে করোনা টেস্ট করি। যারা করোনা টেস্ট করবেন তারা সাথে টিকিট এর দুইকপি আর পাসপোর্ট এর দুইকপি সাথে নিয়ে যাবেন। আমি ৩৫৩৫/- টাকা দিয়ে টেস্ট করিয়েছি কিন্তু ২৮ তারিখ থেকে সেটা ১৫১৫/- টাকা করা হয়েছে। যাইহোক দুবাই দিয়ে আসলে চেষ্টা করবেন DNCC থেকে করোনা টেস্ট করানোর জন্য কারন এটা আর্মিদের দ্বারা পরিচালিত আর খুবই ডিসিপ্লিনড মনে হয়েছে আমার কাছে দ্বিতীয়ত এয়ারপোর্টে দেখলাম অনেক যাত্রী অন্য সেন্টার গুলো থেকে টেস্ট করিয়েছে তারা খুব ঝামেলায় পড়েছেন। ঝামেলা এড়াতে DNCC বেস্ট অপশন আর তাদের সার্টিফিকেট পরের দিন দুপুরে অনলাইনে পাওয়া যায়। সুতরাং সার্টিফিকেট কালেকক্ট করার জন্য মহাখালী আসার দরকার পড়বেনা।
এবার আসেন এয়ারপোর্টে আসার আগে আপনাকে সাথে কী কী আনা লাগবে
প্রথমত স্মার্টফোনে Covid 19 DXB এপটি আগে থেকে ডাউন করে রাখবেন( কয়েকজন স্মার্টফোন নিয়ে আসেনি পরে নতুন মোবাইল কিনে এপ ডাউনলোড করা লাগছে) দ্বিতীয়ত আপনার ডকুমেন্টস যেমন করোনা সার্টিফিকেট মিনিমান ৩ কপি, টিকিট ৩ কপি ইউএই এন্ট্রি সবুজ সিগনাল যাদের দেখায় সেটা প্রিন্ট করে ২ কপি সাথে রাখবেন। যারা দুবাইর ভিসা তারা GDRFAD এপ্রুভাল কপি রাখবেন আবুধাবি সহ অন্যান্য ইমিরেসটসের যাদের ভিসা তাদের ইউইউ এন্ট্রি সবুজ হলেই চলবে। যেহেতু বাংলাদেশ বিমান দিয়ে ফ্লাই করেছেন তারা হেলথ ইনসুরেন্সের কথা জিজ্ঞেস করবে হেলথ ইন্সুইরেন্স থাকলে ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা কম তবে আমার সাথে দুজন ছিলো তাদের হেলথ ইন্সুইরেন্স ছিলো তবে এক্সপায়ার্ড কিন্তু তারা দুবাইতে ডুকতে পেরেছে ।
ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ৪টা ফর্ম দিয়ে থাকবে সেগুলো আগে থেকে ফিলাপ করে নিবেন নাহয় বাংলাদেশ বিমানের ওয়েবসাইটে ইউইউ ডিক্লারেশন ফর্ম দেওয়া আছে সেগুলো প্রিন্ট করে ফিলাপ করে নিবেন যদিও এয়ারপোর্টে এগুলো ফিলাপ করে দেওয়ার লোক আছে তারপরেও ঝামেলা এড়াতে আগে থেকে করে নিতে পারেন। বোর্ডিং এর পর ইমিগ্রেশন শেষ করে বিমানে উঠার আগে লাস্ট সিকিউরিটি চেকিং এ ইউএই এন্ট্রি চেক করে।
বিমান থেকে নামার পর করোনা টেস্টের জন্য নিয়ে যাবে। একটা টিম ইনফো কালেক্ট করে অন্য টিমের কাছে পাঠাবে স্যাম্পল কালেকশনের জন্য তারপর সবশেষে দুবাইয়ে ইমিগ্রেশন। এখানে আপনার পাসপোর্ট ভিসা চেক করে স্ট্যাম্পিং করে দিবে। তবে এই প্রসেসে সময় লাগতে পারে কারন আমার বিমান ল্যান্ড করে রাত ১১ঃ৩০ মিনিটে আর আমি বের হই তখন রাত প্রায় ৩ টা।
এই প্রসেস শুধু বাংলাদেশ বিমান দিয়ে দুবাই এয়ারপোর্টে নামার খেত্রে অন্য এয়ারলাইন্সের ব্যাপারে এটা কার্যকর নাও হতে পারে৷
লেখকঃ আলী আজগর মামুন
আমিরাত প্রবাসী