সমাজ কর্মে নিবেদিত সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক মাজহার উল্লাহ মিয়া
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসীদের কাছে এক প্রেরণার নাম মাজহার উল্লাহ মিয়া। সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক হিসেবে কমিউনিটিতে রয়েছে তার যথেষ্ট সুনাম। চট্টগ্রামের এই কৃতি সন্তান দূর পরবাসে পরিশ্রমের মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনে সফলতার নজির সৃষ্টি করেছেন। কর্মদক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা ও ইচ্ছে শক্তির সমন্বয়ে দেশ-বিদেশে গড়ে তুলেছেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৮ সালে চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে মাজহার উল্লাহ মিয়া জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আলহাজ্ব মুন্সি সুলতান আহমদ ও মাতার নাম আলহাজ্ব মাহমুদা খাতুন। চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ স্কুল থেকে পড়াশোনা শুরু হলেও ঢাকায় গ্রেজুয়েশন শেষ করেন। ১৯৭৭ সালে জীবনকে গতিশীল করতে পাড়ি জমান তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রবাস জীবনের যাত্রা শুরু হয় দুবাইস্থ একটি ৫ তারকা রেস্টুরেন্টের মেইনটেনেন্স কাজের মাধ্যমে। সেখানে মাত্র তিন মাস কাজ করেন। তৎকালীন সময়ের অ্যামনেস্টির সুযোগে গার্মেন্টস ব্যবসায় নেমে পড়েন। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। বর্তমানে তার উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান সমূহ হলো- মৌজা মোহাম্মদ রেডিমেড গার্মেন্টস, আল ইনসারা রেডিমেড গার্মেন্টস, এম এইচ জেট টয়েচ ট্রেডিং এল.এল.সি. এবং জে.এম.থ্রি এপার্টমেন্টস। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বহুসংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে।
ব্যবসার পাশাপাশি মাজহার উল্লাহ মিয়া একজন সফল সংগঠক হিসেবে সকলের কাছে সমাদৃত। দূর প্রবাসে দীর্ঘদিন ধরে তিনি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্য, মীরসরাই সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ সমিতির আজীবন সদস্য, চট্টগ্রাম সমিতির সহ-সভাপতি, দুবাই আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের সাবেক উপদেষ্টা, উপদেষ্টা বাঁধন থিয়েটার, উপদেষ্টা বাংলা এক্সপ্রেস ও লায়ন ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল এর সদস্য তিনি। নিজ উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ ও কলেজের মান উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। এলাকার অসহায় মানুষদের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। ইতোমধ্যে তিনি এলাকায় দুটি শহিদ মিনার স্থাপন করেছেন। নিজের অঞ্চলের প্রতি আন্তরিকতার কথা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মীরসরাই উপজেলার উন্নয়নের কথা বিবেচনা করে আমরা এখানে মীরসরাই সমিতি চালু করেছি। এই সমিতির মাধ্যমে যেমন এলাকার উন্নয়ন হবে তেমনি সবার মধ্যে আন্তরিকতা সৃষ্টি হবে। ইউকে, ইউএসএ ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশেই মীরসরাই সমিতি রয়েছে, যার মাধ্যমে নতুন এক মীরসরাই তৈরিতে সহায়ক হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ছয় ভাই-বোনদের মধ্যে মাজহার উল্লাহ মিয়া সবার ছোট। ১৯৮০ সালে একই উপজেলার এবাদুল হক চৌধুরীর কন্যা জরিনা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মিজান মিয়া আমেরিকার সুইস ব্যাংকের ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে মিরাজ মিয়া চিকিৎসা বিভাগে পড়ালেখা করছেন। একমাত্র মেয়ে মায়মুনা আক্তার আমেরিকা থেকে বি.বি.এ. সমাপ্ত করেছে।